চন্দ্র

55

দুলাল চন্দ্র দাস

হে চন্দ্র দেব, তুমি ধন্য,
তোমার স্নিগ্ধ কিরণে মুগ্ধ ত্রিভুবন।
পর্বত বন মুগ্ধ মানবের মন,
নদী সমুদ্র, পশু পাখি জীবগণ।

তোমার কৃপায় রজনীতে
ধরাধামে হয় সুধা বর্ষন,
আবার তোমার বিহনে
ঘোর অন্ধকার হয় এভুবন।

কৃষ্ণ পক্ষে নিশিতে পশু পাখি মানব
ভয়ে ত্রস্ত সকলে থাকে নীরব!
বাড়ে উপদ্রব নিশাচর বিষধর
হিংস্র পিশাচ দৈত্য দানব!
বাড়ে চুরি ডাকাতি খুন খারাপি
মানহানি আর ও কত কী!

জ্যোৎস্না এলে তব দরশনে
আবার আনন্দের বন্যা নামে।

স্বস্তি পায় জীবনে
জ্যোৎস্না রাতে দক্ষিণা পবনে ,
চাঁদ রাতের ভ্রমণে উন্মুক্ত স্থানে,
কী মধুর লাগে দুজনে!

নদী মাঝে মাঝি নৌকা বেয়ে যায়,
কী মধুর গান গায়!
পান্থ বাজায় বাঁশি
শুনে মুগ্ধ হয় গ্রামবাসি!

পূনিমা রাতে বেলজুই রজনীগন্ধা
হাসিমুখে ফোটে,
সৌরভ ছড়ায় চারিদিকে
আনন্দে সুগন্ধে সব মেতে ওঠে!

পৃথিবীর বুকে জোয়ার ছুটে
ভাঁটা নামে তোমার আকর্ষণে,
জলে স্থলে সকল জীবের
আনন্দের ঢেউ বয় তাদের জীবনে।
সকল জীবের সৃষ্টি রহস্য
লুকিয়ে আছে মনের সংগোপনে,
জল বাড়ে জল কমে, আলো আসে
অন্ধকার নামে, তোমার আকর্ষণে।

সুখ-দুঃখ উত্থান পতন
আসে জীবনে,
পৃথিবীব মানুষের
নিজ নিজ কর্ম গুণে।