ছাতকে প্রতারণা মামলা থেকে দু’আইনজীবীকে অব্যাহতি

64

ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকের কালারুকা ইউনিয়নের কাজী মাও. আব্দুস শাকুরসহ দু’ আইনজীবী প্রতারণা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। ৭ আগষ্ট সিলেট মহানগর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে তারা মামলা থেকে অব্যাহিত পান। আদালতের সাথে প্রতারণা অভিযোগে সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-০৩ এর বিজ্ঞ বিচারক মামুনুর রহমান সিদ্দিকী বাদী হয়ে ১৮ মে আহমদ জামান চৌধুরী ফরহাদ, এড. আকমল খান, এড. সাহাব উদ্দিন, ছাদিক মিয়া, ফাহমিদা হক (ভুয়া নামধারী) ও কাজী মাও. আব্দুস শাকুরের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণা মামলা (নং ৬৬২/২০১৭) দায়ের করেন।
বাদীর এজাহার থেকে জান যায়, ওসমানীনগরের সৈয়দপুর-উমরপুর গ্রামের আসিকুর রহমান চৌধুরীর পুত্র আহমদ জামান চৌধুরী ফরহাদ (২৮)’র বিরুদ্ধে ২০ ফেব্র“য়ারী শাহপরান থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা (নং-১৫) দায়ের করেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার যুধিষ্টিপুর গ্রামের মৃত ওবায়দুল হকের মেয়ে ফাহমিদা হক। এ মামলায় ফরহাদের উপর গ্রেফতারী পরোয়ানাও জারি করা হয়। ২৬ ফেব্র“য়ারি ফরহাদ এক নারীকে ফাহমিদা হক সাজিয়ে নিজেদের জন্ম নিবন্ধন, বিয়ের উকিল ও স্বাক্ষী নিয়ে ছাতকের কালারুকা ইউনিয়ন কাজি অফিসে উপস্থিত হয়ে কাবিননামা রেজিষ্ট্রির মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। ওই কাবিন রেজিষ্ট্রি ও বাদীর পরিচয়ে ফাহমিদা হক নামের ভুয়া নারী আদালতে উপস্থাপন করে ফরহাদ ও ফাহমিদার মধ্যের বিষয়টি আপোষ নিষ্পত্তির মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে দেখিয়ে ২ মে আহমদ জামান চৌধুরী ফরহাদ আদালত থেকে জামিন লাভ করেন। আদালতে ফরহাদের পক্ষে জামিন প্রার্থনা করেন আইনজীবী এড. আকমল খান ও এড. সাহাব উদ্দিন।  বিষয়টি জানতে পেরে ১৬ মে মামলার মূল বাদীনি ফাহমিদা হক আদালতে হাজির হয়ে জাতিয় পরিচয়পত্র উপস্থাপন করে তার সাথে আসামি ফরহাদের আপোস নিষ্পত্তিতে কোন বিয়ে সম্পন্ন হয়নি এবং ২ মে তিনি আদালতে উপস্থিতও হননি। এ জামিনের ঘটনা নিয়ে আদালত জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে দায়ভার এড়াতে ওই আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামুনুর রহমান সিদ্দিকী বাদী হয়ে আহমদ জামান চৌধুরী ফরহাদ, এড. আকমল খান, এড. সাহাব উদ্দিন, ছাদিক মিয়া, ফাহমিদা হক নামের ওই অজ্ঞাত নারী ও কাজী মাও. আব্দুস শাকুরের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। অবশেষে ৭ আগষ্ট মামলার চার্জ গঠনের সময় দু’আইনজীবী ও কাজী মাও. আব্দুস শাকুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় মামলা থেকে তাদেরে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।