ছাতকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত

25

ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে পূর্ব বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারিসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ১০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার জাউয়া ইউনিয়নের বড়কাপন গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামের ইসকান্দর আলীর পুত্র ইউপি সদস্য আব্দুন নুর ও একই গ্রামের মৃত হাছন আলীর পুত্র আতাউর রহমানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। শুক্রবার বিকেলে কতিপয় যুবক বড়কাপন-আজমপুর সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মারবেল খেলায় মেতেছিল। এ সময় আব্দুন নুর মেম্বার বাজারে আসার পথে মারবেল খেলায় মেতে উঠা যুবকদের যাতায়াতের রাস্তায় খেলা বন্ধ করার জন্য বলেন। এ নিয়ে আব্দুন নুর মেম্বারের সাথে যুবকদের মধ্য থেকে আতাউর রহমানের পুত্র জাবেদুর রহমান তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার জের ধরে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তুমুল সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ পর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজন আতাউর রহমান পক্ষের বিক্রম আলী, নুরুল আমিন, রাজিয়া বেগমের বসত ঘরসহ কয়েকটি বসতঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে জাউয়া ফাঁড়ির পুলিশ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থলে পৌছে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। প্রায় দেড় ঘন্টা ব্যাপী দফায়-দফায় সংঘর্ষে নারীসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। গুরুতর আহত আতাউর রহমান (৪৫), আক্তার হোসেন (২৮), আফজল (২০), শিরিয়া বেগম (৩০), কল্পনা বেগম (৩০), গিয়াস আহমদ (৪৫), সৈয়দুর রহমান (৩৮), বরকত উল¬াহ (৪০), আব্দুল কাদিও (৫২) ও জমির হোসেন (২৫)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মারজান (১৮), আকবর (১৬), নুরুল আমিন (২৭), আব্দুল লতিফ (৫০), জমির আলী (২৫), পংকিমালা বেগম (৪০), সেলিনা বেগম (৩৮), লাইলী বেগম (২০), আফিয়া বেগম (৩০) বিক্রম আলী (৬০), সৈয়দুর রহমান (৩৫), ছমরু মিয়া (২৩), আব্দুল¬াহ (২২), মিলন (২১), আল¬াদ বিবি (৮০), আনোয়ার আলী (২৭), লোকমান আলী (৫০), রহিম আলী (৬০), আকল আলী (৪৫), ফিরোজ আলী (২৮), আশাদ আলী (৩০), আজির আলী (১৮), শফিক আলী (২০), মনফর আলী (৬০), সাহাব উদ্দিন (৩৫), আমির আলী (৪০), রহিম আলী (২০), আল-আমিন (২০), আনসার আলী (৫০), শুকুর আলী (২৫), আজাদ মিয়া (৫৪), দবির মিয়া (১৮), শাহীন (১৮), তাজ উদ্দিন (৫৫)সহ অন্যান্য আহতদের কৈতক হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। জাউয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) নির্মল চন্দ্র দেব জানান, জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্যদের নিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।