ঈদ উপলক্ষে গোয়াইনঘাটের পর্যটন স্পটে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম

27

গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা :
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে কেউ কেউ সপরিবারে আবার কেউবা বন্ধু-বান্ধব সাথে নিয়ে ছুটে এসেছেন সিলেটের jaflong photo 29=6=17 (1)গোয়াইনঘাটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। এর মধ্যে প্রকৃতি কন্যা জাফলং, রাতারগুল সোয়াম ফরেষ্ট, বিছনাকান্দি জিরো পয়েন্ট, পিয়াইনের মায়াবি ঝর্ণা ও পান্তুমাইয়ের ফাটাছড়া ঝর্ণাধারা। এই পর্যটন কেন্দ্রগুলো তাদের স্ব-স্ব সৌন্দর্য্যে খুব সহজেই আকৃষ্ট করে আগত পর্যটকদের। এর মধ্যে অন্যতম ও দেশ বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় পরিচিতি রয়েছে প্রকৃতিকন্যা জাফলং। প্রকৃতির ঢেলে সাজানো এই সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে ঈদ পরবর্তী ছুটির দিন গুলোতে পর্যটন কেন্দ্র জাফলংয়ে রয়েছে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। এসব পর্যটকদের আপ্যায়ন করতে এখানে প্রস্তুত রয়েছে আবাসিক-অনাবাসিক হোটেল রেস্তোরা। গড়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্রিক নানা ধরনের ব্যবসা বাণিজ্য। এতে রয়েছে দেশী-বিদেশী কাপড়-চোপড়ের ব্যাপক পসরা এবং কসমেটিকসহ নানা রকম উপহার সামগ্রী। পর্যটন কেন্দ্র জাফলংয়ে ঈদের দিন বিকেল থেকে গতকাল বিকেল পর্যন্ত প্রতিদিন লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম লক্ষ্য করা গেছে। সরজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে পর্যটন এলাকা জাফলংয়ের প্রবেশ দ্বার মামার বাজাররের মোহাম্মদপুর থেকে শুরু করে বল্লাঘাট পর্যন্ত কয়েক শতাধিক পর্যটক-বাহী গাড়ী রয়েছে, রাস্তাঘাট, রেষ্টুরেন্টের সম্মুখ ছাড়াও পাথর রাখার ফিল্ড এবং ক্রাসার মেশিন জোন এলাকায় ও প্রচুর পরিমান গাড়ী লক্ষ্য করা যায়।
গোয়াইনঘাট উপজেলার অন্যতম পর্যটন স্পট প্রকৃতি কন্যা জাফলংয়ে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কুমিল্লা থেকে বেড়াতে আসা আহসান মনি’র সাথে আলাপ কালে তিনি জানায়, পরিবার পরিজনদের নিয়ে গোয়াইনঘাটের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে এসে খুব বেশী আনন্দ উপভোগ করছি। তবে ডিজিটাল সরকারের আমলে পর্যটনকেন্দ্র জাফলংয়ের রাস্তার বেহাল দশা দেখে মনে খুবই কষ্ট পেয়েছি। বর্তমান সরকারের আমলে এই রাস্তাটি সংস্কার না করায় আহসানসহ একাদিক পর্যটক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন এখানে আগত পর্যটকসহ স্থানীয়দের চলার উপযোগী করে তুলতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-নজর কামনা করেন।
এদিকে বিছনাকান্দি জিরো পয়েন্ট এলাকা পরিদর্শনকালে দেখা যায় কয়েক সহস্রাধিক পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত রয়েছে নতুন ভাবে পরিচিতি পাওয়া এই পর্যটন কেন্দ্রটিতে। এছাড়াও রাতারগুলের সোয়াম ফরেষ্ট, পান্তুমাইয়ের ঝর্ণাধারা ও পিয়াইনের মায়াবি ঝর্ণায় পর্যটকেদর সমাগম ছিল লক্ষণীয়।
গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটন কেন্দ্রে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তার ব্যাপারে জানতে চাইলে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. দেলওয়ার হোসেন জানান, ঈদুল ফিতরের ছুটি হওয়ায় উপজেলার প্রকৃতি কন্যা জাফলং, সোয়াম ফরেষ্ট রতারগুল, পান্তুমাই ফাটা ছড়া, পিয়াইনের মায়াবি ঝর্ণা ও বিছনাকান্দি পর্যটন কেন্দ্রে অন্য বছরের তুলনায় পর্যটকের সমাগম বেশি হয়েছে। পর্যটন কেন্দ্রে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষনিক পুলিশ টহলের পাশাপাশি টুরিষ্ট পুলিশ, বিজিবি, আনসার, গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা নিয়োজিত রয়েছে।