শেষ মুহূর্তে কেনাকাটায় ঈদ বাজার জমজমাট

57

স্টাফ রিপোর্টার :
শেষ মুহূর্তের কেনা কাটায় জমজমাট ঈদ বাজার। তবে এবারও ভারতীয় পোষাকের দখলে ঈদবাজার। ভারতের 41e274ee5a4c78048cee972f42bb55bc-04পোষাকই দখল করে নিয়েছে নগরীর বিপণী বিতান ও শপিংমলগুলোতে। এছাড়া থাইল্যান্ড ও আরব আমিরাতের পোষাকও রয়েছে পছন্দের তালিকায়। ফলে প্রতিটি কাপড়ের দোকানে শেষবারের মতো ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ঈদ উপলক্ষে বিক্রেতারাও ভারত থেকে নিয়ে আসেন নতুন ডিজাইনের কাপড়। কাপড়ের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সিলেটের বিভিন্ন সীমান্ত পথে চোরাচালানও বেড়ে যায় এ সময়। এখন ক্রেতাদের পদচারণায় নগরীতে মুখরিত বিপণি বিতানগুলো। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। ঈদ উপলক্ষে বাজারে এসেছে বাহারি পোশাক।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর সিটি সেন্টার, মিলেনিয়াম, কাকলী, ব্লু-ওয়াটার, আল-হামরা, সিলেট প্লাজা, মধুবন, শুকরিয়া মার্কেট, আড়ং, মাহা, লা-রিভ, কাশিসসহ কুমার পাড়া রোডের বিপণিবিতান গুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। রঙ-বেরঙের বাহারি ডিজাইনের পোশাক শোভা পাচ্ছে সবখানে। প্রতিটি দোকানের ব্যবসায়ীদের দাবী প্রতিবারের মতো এবারেরো ঈদ বাজারে ভারতীয় পোশাকের চাহিদাই বেশি। মেয়েদের জন্য ভারতীয় পোশাক কুর্তি, লং স্কার্ট, লেহেঙ্গা ও ছেলেদের জন্য সেমিলং এবং শর্ট পাঞ্জাবি বেশি চলছে এবার এখানকার ঈদ বাজারে। যার সবগুলই ভারতীয় পোশাক। সরেজমিনে বিপণী বিতানগুলো ঘুরে পাওয়া গেলো তার সত্যতা। এই বছরও ভারতীয় পোশাকের কদর বেশি। শিশু থেকে শুরু করে মধ্য বয়সীরাও ভারতীয় পোশাকের দিকেই ঝুঁকছেন বেশি। বিক্রেতাদের সাথে ক্রেতারাও স্বীকার করেছেন, এবারের ঈদে দেশি পোশাকের চেয়ে বিদেশি পোশাকের প্রতি তাদের নজর বেশি।
এছাড়া ভারতের পর থাইল্যান্ড ও দুবাই থেকে কিছু কাপড় এসেছে। অন্যদিকে গেঞ্জি, টি-শার্ট ও জুতোর বাজার দখল করে আছে চীন আর বোরখা ও হিজাবে ওড়নার জায়গা দখল করে নিয়েছে পাকিস্তান। তবে তাদের মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করে আছে ভারত। কারণ বিদেশি শাড়ি ও থ্রি-পিসের প্রায় সবই ভারতের। রয়েছে নাম ধামও ভারতীয় অভিনেতা, অভিনেত্রী ও সিরিয়ালের নামেই চলছে।
নগরীর সিলেট সিটি সেন্টারের মল্লিকা শাড়ী ফ্যাশনের স্বত্ত্বাধিকারী বলেন, এবার ভারতীয় কাতান, ডিআইডি কটন, পেপার সিল্ক, গাউন, ব্রাইডাল গাউন, ইন্ডিয়ান বেনারসি, কাঞ্চিবরণ, মিনাকুমারী, মৌ মাস্তান, কাশ্মীরি সিল্ক ইত্যাদি শাড়ি বিক্রি করছি। এখন পর্যন্ত বিক্রিও ভালো। তবে ভারতীয় পোশাক বেশি বিক্রি হলেও দেশীয় বুটিকসের পোশাকের বিক্রি কম- তা বলা যাবে না। নগরীর আড়ং, দেশি দশ, রঙ, শৈল্পিক, বিশ্বরঙ, ইজি ফ্যাশন সহ বিভিন্ন দেশী ব্যান্ডের শো-রুমের দেশি পোশাকও ভালো বিক্রি হচ্ছে।